শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন
রবিন চৌধুরী রাসেল- রংপুর জেলা প্রতিনিধি.
বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিকদের মিষ্টি বিতরণ। প্রেসক্লাব রংপুরের প্রতিষ্ঠা লক্ষ্যকে পাস কাটিয়ে এবং নিবন্ধন আইনসহ অনুমোদিত গঠনতন্ত্র আড়াল ও কাটাছেঁড়ার মধ্যদিয়ে প্রায় ৩ যুগ অনিয়ম দুর্নীতি করে অবৈধ ভাবে পরিচালিত হয়ে আসছিল সংগঠনটি। সেই সাথে জেলার সম্পাদক প্রকাশকসহ প্রায় ৩’শ জন কর্মরত সাংবাদিককে বঞ্চিত করে মাত্র ৩০/৪০ জন সাংবাদিক, অসাংবাদিক, শিক্ষকসহ ফ্যাসিস্ট এবং দোসরে ভরে ক্লাব। সরকারি বেসরকারি সকল সুযোগ সুবিধা অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে লুটেপুটে নেয় সিন্ডিকেটটি।
প্রেসক্লাব কমপ্লেক্স এর শত শত দোকান অবৈধ বিক্রি করে আত্মসাৎ করে একেকজন বনেন কোটিপতি। ক্ষমতা কুক্ষিগত করায় প্রকৃত পেশাদার সাংবাদিকরা দীর্ঘ দিন বঞ্চিত থাকে। শুধু তাই নয়, যারাই এসবের প্রতিবাদ ও প্রতিকারে সোচ্চার। তাদেরকেই লাঞ্ছিত,অবাঞ্চিত ও হামলা, মিথ্যা মামলাসহ নানাভাবে নাজেহাল করে। অধিকার বঞ্চিতদের পক্ষে সাংবাদিক জাকির হুসাইন কথা বলতে শুরু করলে এবং অনিয়ম দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রতিবাদ ও প্রতিকার চেয়ে, গহশুনানীতে উপস্থাপন করে আসলে তাকে হামলা করে গুরতর আহত করে কোনঠাসার অপচেষ্টা করে। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে।
পরবর্তীতে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে জুলাই ২৪এ ফুসে ওঠে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার বিপ্লবী আন্দোলন। সে সময়ে প্রেসক্লাব,রংপুরকে জেলায় কর্মরত সকল সম্পাদক প্রকাশক ও সাংবাদিকদের জন্য বৈষম্যমুক্ত করে অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন শুরু করে বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক আন্দোলন নামে এসএম জাকির হুসাইন, এনামুল হক স্বাধীন,শরীফা বেগম শিউলি, রবিন চৌধুরী রাসেল, আশরাফ খান কিরণসহ প্রায় দেড় শতাধিক সাংবাদিক। রংপুর জেলা, বিভাগের সকল সরকারি দপ্তরে বৈঠক করেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার নেতাকর্মীসহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করে। সভা, সমাবেশ, মানববন্ধন করে স্মারকলিপি প্রদান করে আসে। চলে চিঠি চালাচালি। এতে অবৈধ কমিটি ও তাদের দালালদের মাথা আরও খারাপ হয়।
তথ্য উপদেষ্টার মতবিনিময় বানচাল করতে উপদেষ্টার অনুষ্ঠানে আবারও হামলা করে সাংবাদিক জাকিরকে আহত করে। এরপর বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক আন্দোলন এর নেতাকর্মীরা আন্দোলনকে আরও জোরদার করে বিচার দাবি করে। এতে সমাজসেবা অধিদপ্তর বিষয়টি আন্তরিকভাবে আমলে নিলে প্রেসক্লাব, রংপুরের সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। তদন্তে বাস্তবিকভাবে সরেজমিনে আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়ম ধরা পড়ে।
সে মোতাবেক রেজিষ্ট্রেশন ও নিয়ন্ত্রণ ১৯৬১ সালের ৯ (১)ধারা মোতাবেক গত ১৫ জানুয়ারি তদন্ত রিপোর্ট বলে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ প্রেসক্লাব,রংপুরের বর্তমান কমিটিকে বরখাস্ত করে সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। ধারা ৯(২) মোতাবেক ৪সদস্য বিশিষ্ট তত্বাবধায়ক নিয়োগ করে অনতিবিলম্বে বাস্তবায়নের পত্র রংপুর বিভাগীয় সমাজসেবার পরিচালককে প্রধান করে রংপুর বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ে গত ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ইং প্রেরণ করেন। বিপ্লবী সরকারের এ সিদ্ধান্তে ও খবরে বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক আন্দোলন রংপুরএর সকল সমন্বয়ক ও সদস্যরা কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মিস্টি বিতরণ করে। অনতিবিলম্বে বাস্তবায়নের জোর তাগিদ দেন।